মিরপুর পল্লবীতে ফুটপাত ও মুল সড়কেই বসে অবৈধ বাজার। এবাজার নিয়ন্ত্রণ করছে এলাকার ক্ষমতাসীন নেতার লোকজন। তবে খোলাসা করে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। সড়কের বাজারের ভ্যানভিত্তিক দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা-যায় প্রতি দোকান থেকে ৫০ টাকা ও সি-ব্লক ৬নং রোডে সড়কে উপর কাপুরের দোকান থেকে দুইশত থেকে তিন’শ টাকা দিতে হয়।জানতে চাইলে টাকা দেন কেন? প্রতি উত্তরে দোকানদারা বলেন, টাকা না দিলে তো পুলিশ এসে আমাদের দোকান করতে দিবেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চটপর্টির দোকানদার বলেন, প্রতিদিন তিন’শ টাকা দিতে হয়, টাকা না দিলে দোকানসহ ফেলেদেয় ।
পল্লবী থানার ২০ গজ দক্ষিন পাশ থেকে এবাজার শুরু হয়ে সি- ব্লক ১ নম্বর রোড পযন্ত এবাজার বসে। এ বাজারে পাওয়া যায় শাক-সবজি মাছ গরুর গোস্তসহ প্রায় দুই শত দোকান। এবাজারের কারনে প্রতি দিনই ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আবাসিক এলাকায় বসাবাস করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে প্যারাডাইস ইন্টার ন্যাশনাল স্কুলে পড়তে আসা একাধিক শিক্ষার্থীর অফিযোগ, এবাজারের কারনে আমাদের হাটা চলা করতে ভিষণ ভয় লাগে কখন জানি দুর্ঘটনার কবলে পড়ি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতার লোকজন ফুটপাত ও সড়কের দোকান পরিচালনা করে তাই আমরা প্রতিবাদ করার সাহস পাইনা। কেননা আমাদের এখানেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতে হয়।
প্রাইমারি স্কুলের টিচার-সুমন বলেন, পল্লবী থানায় ওসি দাদন ফকির থাকা কালিন কোন বাজার বসতে পারেনাই, আমরা সাধারন জনগন তখন শান্তিতে ছিলাম। বর্তমানে দিনে বাজার রাতে বাষ্ট্যান্ড মিরপুরের বিভিন্ন রোডের বাস গাড়ী আমাদের বাসা বাড়ীর সামনে রাখে ও রাতে গাড়ীর মেরামতের কাজ করে। রাতে দেখা যায়, রাত ১১টার পর থেকে সড়ক জুড়ে টাউন সার্ভিস বাসের সারি বদ্ধ লাইন রাত ভরে গাড়ী টুংটাং সব্দ-বাস স্টাপদের হৈচৈ চেচা-মেচি তো আছেই। দিনে বাজার রাতে গ্যারেজ এলাকাবাসিরা পল্লবী থানায় একাধিক বার মুখিক অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয়না।
স্থানীয় বাসির দাবী আবাসিক এলাকায় মুল সড়ক ও ফুটপাতে বাসা বাড়ীর সামনে কোন প্রকার দোকানপাট থাকা অমানবিক। কিছু দিন আগেও স্থানীয় এমপি, আলহাজ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ বায়তুল জামে মসজিদে শুক্রবারে জুম্মার নামাজ শেষে বলেন, সি-ব্লক এবং এ-ব্লকে পল্লবী থানা রোডে কোন প্রকার দোকানপাট ও রাতে সড়কে গাড়ী থাকবেনা, বেশ কয়েক দিন উক্ত আবাসিক এলাকায় পরিস্কার ছিলো, সেসময় পল্লবী থানার ওসি হিসেবে দায়ীত্বে ছিলেন দাদন ফকির।
পল্লবী বায়তুল সালাম জামে মসজিদের মুসল্লীরা বলেন, ফজরের নামাজ পড়তে আসলে এই রোডে ও মসজিদের সামনে বাস গাড়ীর কারনে কিছু টা ভয়ে বেগ পোহাতে হয়। বাসের ভিতর যেমন গাঁজা সেবন করে তেমন অনৈতিক কার্যকলাপ ও মাঝো মাঝে লক্ষ করা যায়। বাসের চিপায় চাপায় ছিনতাইকারীও ওৎ পেতে থাকে, সব কিছু মিলিয়ে আমরা এলাকাবাসি অবৈধ দোকানপাট ও বাসা বাড়ীর সামনে বাসষ্ট্যান্ড করা কোন মতেই সমর্থন করিনা- পল্লবী ব্লক-এ, রোড-৯ ও সি-ব্লক রোড ১-২, পল্লবী থানা উত্তরে সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাস্টবিন সংলগ্নে টাউন সার্ভিস বাসের ষ্ট্যান্ড করায় রাতে প্রায়ই ছিনতাইয়ের কবলে পড়তে হয় সাধারন মানুষের, বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় গন্যমান্য বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় গন্যমান্য এলাকাবাসিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লবীর স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন, ফুটপাত দখল করে জনগনের হাটা চলার পথ বন্ধ করে সেচ্ছাসেবকলীগের অফিস করার পর থেকে ছিনতাইকারীর আবির্ভাব বেশি লক্ষ করা যায়।একই থানা এরিয়াতে দুইটা অফিস কেন? একটা টেকেরবাড়ী একটা পল্লবী।ও একাধিক টং দোকান বসিয়ে প্রতি মাসে হাজার টাকা ও অবৈধভাবে সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।
বিস্তারিত আসছে বাংলাদেশ একাত্তর.কম এ