(বাংলাদেশ একাত্তর)
রাজধানীর মিরপুর ১০ ঝুটপট্রি নান্না বিরানী হাউজের সামনে পল্লবী থানার পুলিশ বহনকারী (পাবলিক) লেগুনার গাড়ী চালক আমিন (৩০) সড়ক দু্ঘর্টনায় নিহত হন।
জানা যায়, পল্লবী থানার এস.আই সোহেল সহ তার টিমের পুলিশ সদস্য নিয়ে মিরপুর ১০ ঝুটপট্রি এলাকায় টহল দিচ্ছিল। হঠাৎ লেগুনা চালক আমিন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে (রবিবার) সকাল আনুমানিকঃ ১০টার দিকে, মিরপুর ১০ ঝুটপট্রি নান্না বিরানী হাউজের সামনে গাড়ী থামিয়ে রাস্তার ওপারে দৌড় দিয়ে যাওয়ার সময় ওপর প্রান্তে থেকে দুরত গতিতে ছুটে আসা অজ্ঞাত এক প্রাইভেটকারের সাথে ধাক্কা লাগলে আমিন ছিটকে পড়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। আমিন দৈনিক ৫০০ টাকা রোজে পুলিশ বহনকারী লেগুনা গাড়ীর চালক ছিলেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঘটনাস্থলের আশেপাশের দোকানদারের সাথে আলাপ করলে তারা বাংলাদেশ একাত্তরকে বলেন, রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় একটা প্রাইভেটকারের সাথে ধাক্কা লাগে পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যায়।এ বিষয়ে পল্লবী থানার এস.আই সোহেল বাংলাদেশ একাত্তরকে বলেন, আমিন ছিলো আমার ভাইয়ের মত, হঠাৎ এমনটি দুর্ঘটনায় আমার ভাইয়ের মত আমিনকে চলে যেতে হবে আমি তা কোন ভাবেই মানতে পারছিনা।আমিনের গ্রামের বাড়ী ফরিদপুর হলেও তার জন্মস্থান মিরপুর-১১ লালমাটিয়া টেম্পুষ্ট্যান্ড এর ডি-ব্লকে।
এ বিষয়ে মিরপুর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক,খলিলুর রহমান (খলিল) বাংলাদেশ একাত্তরকে বলেন, আমিন দীর্ঘদিন ধরে পল্লবী থানা পুলিশ বহনকারী (লেগুনা) গাড়ী চালাতো। তার স্বভাব চরিত্র খুব ভালো ছিলো। আমিনের অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাউনিয়াবাধ এলাকায়। আমিনের স্ত্রী, ৫ বছরের একটি কন্যা ও ৮ মাসের পুত্র সন্তান রয়েছে। আমিনকে শেষ বারের মত এক নজর দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করে তার লাশের পাশে। আমিনের জানাযা শেষে কালসী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তবে আমিনের স্বজনেরা দাবি করেছেন, হাসপাতালের মর্গে নেওয়ার পরেও আমিন বেঁচে ছিল। আমিনের স্ত্রী কল্পনা ইসলাম বলেন, মর্গে তাঁর স্বামীর হাত নড়ছিল এবং চোখ খোলা ছিল। তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।