পল্লবীতে বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রীর রহস্য জনক মৃত্যু!
নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর পল্লবী থানাধীন সেকশন-১১ নাম্বারের বাউনিয়াবাধ এলাকার ই-ব্লকের ১১/২৩ নাম্বার বাসায় ফাতেমা নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। ফাতেমা পল্লবী থানাধীন সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তরুণীর আত্নীয় স্বজনের বক্তব্য ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পল্লবী থানাধীন আধুনিক হসপিটালে নিলে উক্ত হাসপাতালের দায়ীরত্ব ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।পরে বাসায় নেওয়ার পর খবর পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ বাসার সামনে থেকে ফাতেমার লাশ নিজেদের হেফাজতে নেয়।
ফাতেমার ভাই বলেন, গত , ০৮/০৩/২০১৯ইং তারিখে (শুক্রবার) ঘটনার আগে তারা এক বিয়ের দাওয়াতে যায়। পরে বাসায় ফিরে বেলা আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে পরিবারের সবাই জালনাসহ ঘরের টিনের দেয়ালের ফাক দিয়ে দেখে ফাতেমা ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলে আছে। দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে পল্লবী থানাধীন আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অনির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা লীল প্রজাপতি নামে একটি ফেইসবুক একাউন্ট ব্যবহার করত। সেই ফেইসবুকে ফাতেমা মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে ফিলিং সেড উল্লেখ করে একটি ষ্ট্যাটাস দেয়।
সেই ষ্ট্যাটাসে ফাতেমা লিখে, “মানুষের জীবনে তার সবচেয়ে কাছের মানুষ হলো মা। আর মায়ের চোখ ফাকি দিয়ে অন্যায় কাজ করলে তো ফল ভোগ করতে হবে। হয়তো সেইগুলোই ভোগ করছি। আজ যা হইছে তার জন্য নিজেকে কোনদিন ক্ষমা করতে পারব না। কোন কিছু হওয়ার আগে সমাধানটা করে দিয়ে যাব। সব সমাধান হবে। সরি মা.. আই লাভ ইউ মা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফাতেমার পরিবারের সদস্যরা জানায়, ফাতেমা কোন মোবাইল ব্যবহার করত না! ফাতেমার মোবাইল লুকিয়ে ফেলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে, তারা অস্বীকার করে।আত্নহত্যার কারণ জানতে চাইলে তারা জানায়, ফাতেমার মাথায় সমস্যা ছিল। কোন ডাক্তার দেখিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে জানায়, ছোট বেলায় দেখানো হয়েছিল।
এই বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম জানান, আমি গোপন তদন্তে দেখেছি এটি আত্নহত্যা। হত্যাকান্ড নয়। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তবে এলাকাবাসিরা কেউ কেউ বলা বলি করতে শোনা যায়, রানা নামের এক বখাটের সাথে মাঝে মধ্য তাকে দেখা যেত। তবে কে এই রানা এখনো তার বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। আবার কেউ কেউ বলা বলি করতে শোনা যায়, মেয়েটা অনেক ভালো ছিলো সে আত্নহত্যা করতে পারেনা। তবে যে ফ্যানের কথা বার বার বলা হচ্ছে সেই ফ্যানের সাথে একজন মানুষ ঝুলে থাকলে ফ্যানের গোড়া থেকে ছিড়ে পড়ার কথা। এই রহস্য জনক মৃত্যু নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। তবে সংবাদ কর্মীরা দায়ীত্ব পালনে লাশের নিউজ সংরক্ষণ কালে মৃত ফাতেমার আত্নীয়রা বাধা দেয় এমনকি লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের তড়ি গড়ি করছিলো।
এলাকাবাসীরা আরও বলেন, ফাতেমার কোন সমস্যা ছিলোনা সে সবার মত সুন্দর স্বাভাবিকভাবেই চলা ফেরা করতো এমনকি পড়শুনায় সব সময় ভালো রিজাল্ট করতো। তার কোন মাথায় সমস্যা ছিলো না। তবে অন্যদিকে লক্ষ করা যায়, পল্লবী থানাধীন এলাকায় এমন রহস্য জনক মৃত্যু প্রায়ই ঘটছে। তবে পুলিশ যদি আন্তরিক না হয় তাহলে সংবাদ কর্মীদের সংবাদ সংগ্রহে জটিলতা থেকেই যাবে বলে ধারনা গনমাধ্যম কর্মীদের।