বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০১৯ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ সংবাদ
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

পল্লবীতে নামসর্বস্ব ক্লাবের সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্লট দখলের অভিাযোগ

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
নভেম্বর ২০, ২০১৯ ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ

(বাংলাদেশ একাত্তর.কম) রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে নামসর্বস্ব সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্লট দখলের অভিাযোগ উঠেছে। ক্লাবের নাম দিয়ে মালিকানা সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে চলছে  একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে। ক্লাবের নামের সাথে ব্যবহার করা হয়েছে সমবায় সমিতি। অগ্রদুত ক্লাবের নামে প্লট দখল করে রেখেছে স্থানীয় ভুমিদস্যু চক্র। শুধু দখল নয় সেই প্লটের একাংশ দিয়ে প্রায় ৭/৮টি দোকান বানানোর কাজ চলছে পুরোদমে। দখলকারীদের হুমকি-ধমকির ও প্রানভয়ে নিজের ক্রয়কৃত প্লটে যেতে পারছে না প্রকৃত প্লট মালিকরা।

অভিযোগকারী মঞ্জুর হোসেন মজুমদার জানান, মিরপুর ১২নং সেকশনের পল্লবী, ডি-ব্লক, এভিনিউ ২ এর গ্রুপভিত্তিক ১৫নং প্লট আমরা ১৩জন নগদ টাকায় ক্রয় করি। আমাদের ক্রয়কৃত প্লটটির এক পাশের  বাউন্ডারীসহ ৫.৬৩ কাঠা জমিটি বর্তমানে অগ্রদুত ক্লাব নাম দিয়ে দখল করার পায়তারা করছে স্থানীয় কিছু ভুমি দস্যু সন্ত্রাসীরা।তিনি বলেন, আমারা প্লটটির মালিকগণ আমাদের কেনা সম্পত্তিতে ১৯ অক্টোবর-২০১৯ পরিদর্শনে দেখতে পাই অজ্ঞাতনামা বেশ কিছু ব্যক্তি এই জমিটি তাদের ক্লাবের সম্পত্তি বলে দাবী করে। এবং তারা জমিটির একপাশ  দিয়ে কিছু কাঁচাপাঁকা ঘর নির্মানের কাজ করছে। আমরা তাদের এ কাজের বিরোধিতা করলে তারা আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেয়। এক পর্যায়ে তারা আমাদের গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করলে আমরা আমাদের প্রাণভয়ে চলে আসি। পরে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন ও  পল্লবী থানা পুলিশকে অবগত করি এবং  একটি সাধারন ডাইরী করি। যাহার নং-২০৭৯ তাং ১৯/১১/২০১৯ইং।

মঞ্জুর হোসেন মজুমদার আরও জানান, আমাদের জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বরাদ্ধকৃত গ্রুপভিত্তিক প্লট। প্লট দখলপত্র, দায়মুক্তির সনদপত্র, লিজ দলিল, নামজারী, ওয়ারিশ নামজারীপত্র, বিক্রয় ও হস্তান্তরের অনুমতিপত্রসহ সাব-কবলা দলিল আমাদের ১৩জনের নামে আছে। তারপরও আমাদের প্লটটি একটি নামসর্বস্ব  ক্লাবের নামে দখলের পায়তারা করা হচ্ছে। আমরা সবাই প্রানভয়ে ভীত রয়েছি। তারা আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা খোজনিয়ে জানতে পেরেছি, আমাদের প্লট যারা দখলের চেষ্টা করছে তারা খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা অগ্রদুত ক্লাব, ও অগ্রদুত সমবায় সমিতি লিঃ নাম দিয়ে আমাদের প্লটটি দখলের চেষ্টা করছে। তারা সেখানে মাদক সেবন থেকে শুরু করে নানান অপকর্ম করে। আমি শুনেছি বিএনপি-জামাত আমলে এখানে লোক ধরে নিয়ে এসে মুক্তিপন ও চাদাবাজির টাকার ভাগ-বন্ঠন আদায় করা হতো। এখনও তাদের চাহিদামতো চাদা না দিলে ভুক্তভোগীদের ধরে নিয়ে এসে অত্যাচার করে। ক্লাব নামের অন্তরালে এটি যেন বিএনপি-জামাতের একটি টর্চারসেল। এদের কবলে পড়ে অনেক সাধারণ নিরীহ মানুষ তাদের সর্বস্ব হারিয়েছে। একটু রাত হলেই চলে রমরমা জুয়ার আসর। গভীর রাত পর্যন্ত চলে লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া। এই জুয়ার খপ্পরে পরে অনেকেই তাদের সর্বস্ব হারিয়েছে। জুয়ার সাথে সাথে চলে মাদকের লেন-দেন। আশপাশে বসবাসকারীরা তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস করে না।

মঞ্জুর হোসেন মজুমদার কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমরা এই প্লটটির প্রকৃত মালিকরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই স্থানীয় পল্লবী থানায় জানিয়েছি। আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির সকল বৈধ কাগজ পত্রাদি থাকার পরও বিএনপি জামাতের ক্যাডারদের বিকল্প আবাসস্থল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত অগ্রদুত ক্লাব ও অগ্রদুত সমবায় সমিতি লিঃ নামে এই দখলবাজদের কাছে যেন আমরা অসহায় জিম্মি হয়ে আছি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় নগরির মিরপুর পল্লবী থানাধীন এলাকার  সেকশন  ১২ পল্লবী, ডি-ব্লক, এভিনিউ ২ এর গ্রুপভিত্তিক ১৫নং প্লটে  (অগ্রদুত ক্লাব) নামের একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গানো।

এ বিষয়ে জানতে অগ্রদুত ক্লাবের  ভিতরে গেলে দায়ীত্বশীল কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি।

তবে, এ বিষয়ে  স্থানীয় একধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমরা জানি এটি একটি হাউজিংএর গ্রুপভিত্তিক প্লট কিন্তু প্রকৃত মালিকদের খুব একটা দেখি নাই। ক্লাবের লোকজন তারা নিজেদের বলে দাবী করে দখলে রেখেছে তবে তাদের কাছে মূল মালিকানার কতটুকু বৈধ কাগজপত্র আছে তা আমরা কেউ জানিনা। মাঝে মাঝে কিছু লোকজন আসে তারা নিজেদের প্লট বলে দাবী করে কিন্তু ক্লাবের লোকজন তাদের দখলতো ছাড়েনা। এখন আবার ক্লাবের পক্ষ থেকে দোকানও তোলা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, যারা প্রকৃত মালিক তারাইতো প্লটটিতে থাকার অধিকার রাখে আর কোন ক্লাবের নাম দিয়েতো কারো জায়গা-জমি দখল করা যায় না, ঠিকও না।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে মৌখিক ও একটি জিডিমূলে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ - রাজনীতি