(বাংলাদেশ ত্রকাত্তর.কম) শনিবার।
রাজধানীর মিরপুর পল্লবী থানার পাশে গত বুধবার রাতে, তাজা ৪-টি দাঁত ভাঙ্গার মুল্য ১’লাখ টাকা জরিপনা করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, গত- ২৫/০৩/২০১৯ তারিখ দিনে কক্সবাজার থেকে ঈগল গুল টোবাকো কোম্পানির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন জনি সহ তার পরিবার নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে গাড়ী চালিয়ে রওনা দেন ড্রাইভার জামাল।
পল্লবী থানাধীন এলাকায় তারা পৌছালে আনুমানিকঃ রাত ৮টার দিকে পিছন দিক থেকে দুরত্ব সুটে এসে ওভারটেক করার সময় অঙ্গাত এক ড্রাম ট্রাকের সাথে লেগে গেলে গাড়ীর চালক জামাল সড়কের পাশে গাড়ী থামিয়ে গাড়ীর ক্ষতি দেখতে গেলে ঈগল গুল কোম্পানির চেয়ারম্যান ,বিহারী জনি গাড়ী থেকে নেমে রেগে গিয়ে চালক জামালের মুখে সজোরে লাথি মারলে সাথে সাথে জামালের ৪-টি দাঁত পড়ে যায়, ও ১৪টি দাঁত নড়েচড়ে যায়। রক্তাক্ত হয়ে ভিজে যায় তার পুরো শরীর। একপর্যায়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করতে গেলে তার স্ত্রী জনিকে বাধা প্রদান করে সেখানে পথচারিদের সমগম বাড়ে। পরে ঘটনা স্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে ঈগল গুল টোবাকো কোম্পানির চেয়ারম্যান বিহারী জনি, তার শশুর বাড়ী মিরপুর-১১, প্যারিস রোডে নিয়ে এসে আরও বেধরক মারপিট করে ।
একপর্যায় চালক জামাল অঙ্গান হয়ে পড়লে তারা মৃত্য ভেবে সড়কের পাশে ফেলে যায়। রাত আনুমানিকঃ ১১ টার দিকে জামালের ঞ্জান ফিরে দেখে মিরপুর ১১ প্যারিস রোডের পাশে পড়ে আছে। তখন এক রিক্সা চালকের সহযোগিতায় মিরপুর পুরবী এসে ও চালক জামালের বাসায় ফোন করে তার স্ত্রী ও মেয়ের জামাইকে তারা দুরত্ব এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মিরপুর ১৪ ঢাকা ডেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। জামাল মালিকের কাছে প্রায় দুই মাসের বেতন ৪০ হাজার টাকা ঘটনার আগে পান বলেও জানা যায়।
কোন বিচার না পেয়ে পরে প্রায় ২৫ দিন পর চালক জামাল নিজে বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এখানেই শেষ নয় মামলা করার পর থেকে জামালের উপর আসে মিন্টু রোডের ডিবি, পল্লবী থানার পুলিশ, রাজনৈতিক ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে একের পর আসতে থাকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি-ধামকি। জামালের পরিবারে এক স্ত্রী ও ছোট ছোট ৬টি সন্তান রয়েছে। মামলার তিনদিন পর পল্লবী থানায় আপোষ করেন ৪টি দাঁতের মুল্য ১’লাখ টাকা। এই পর্যন্ত জামালের চিকিৎসা খরচ ৭০/৮০ হাজার টাকা । জামালের সুস্থ হতে লাগবে আরও ৩/৪ মাস, কিন্ত গাড়ী চালিয়ে আর সংসার চালাতে পারবে কি-না সেটাই এখন মুল লক্ষ।
জামাল ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত সে ভাত খেতে পারে না, তরল খাবার জুসের মত পাইপের সাহায্যে (৪৫) বছর বয়সী এই গাড়ী চালক কোন মতে খেয়ে বেঁচে আসেন। তবে বিধাতার দেওয়া হাজার কোটি টাকার চেয়ে অমুল্য সম্পদ দাঁত আর ফিরে পাবেনা জামাল।প্রশ্নঃ বিচারকদের কাছে? মৃত্যুর আগপর্যন্ত কিভাবে কাজ করে খেয়ে পড়ে সংসার জীবন চালাবে অসুস্থ জীবন নিয়ে এই জামাল? তার কথা তার পরিবারের কথা কেউ কি একবার ও ভেবে ছিলো সেই বিচারে? জনি, ঈগল গুল কোম্পানির মালিক তিনি কিভাবে একজন বয়স্ক মানুষকে লাথি মেরে ঘটনার একমাস পর মাত্র ৬০ হাজার টাকা দেয়। এ ভাবেই বলা বলি করতে সোনা গেছে শত শত মানুষের মুখে বিচারিক সময়ে। জানা যায় ঢাকা ১৬ আসনের এমপি আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার পিএস ও এপিএস, দুজনে মিলেই এই বাদীর সাথে আপোষ করে। ৪টি দাঁতের মুল্য ৬০-হাজার টাকা জরিপনা করেন।১মাস পর হলেও অভাবের সময় কিছু টাকা পেয়ে চালক জামালের চোখে আনন্দের অশ্রু টলমল করছে।
অন্যদিকে টাকা নিয়ে জামাল বাসায় যেতে না যেতেই কিছু নামধারী বিএনপি নেতা ও ভুয়া সাংবাদিকদের উৎপাতে বিব্রতকর জামালের পরিবার। ৬০-হাজার টাকা থেকে তাদেরও কিছু দিতে হবে।না দিলেই জামালের বাসায় গিয়েও নানারকম হুমকি দেয় তারা। পরে অবশেষে ৪-হাজার টাকা দিয়ে মাফ চেয়েছেন বলেও জানান ভুক্তভোগি জামাল।জামাল বলেন, যাদের কাছ থেকে টাকা এনে চিকিৎসা করেয়েছি তাদের টাকা গুলো ফেরত দিয়েছি আরও প্রায় ৩০হাজার টাকার দেনা রয়ে গেছে। চিকিৎসা করাতে হবে আরও ৩/৪ মাস, এই টাকা আমি এখন কৈ পাবো।
খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, বছরেও পত্রিকা ছাপার খবর নেই অথছো ৩/৪টি সংগঠনের কার্ড গলায় ঝুলিয়ে এলাকায় সমস্ত কুকর্ম করে তারা। মাদক জুয়া, অবৈধ ভাবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রিয় সম্পদ, গ্যাস পানি বিদ্যুৎ ও।বাদ যায়ণি সরকারি জমিদখল করে বস্তি বানিয়ে অপকর্মের স্বর্গ রাজ্ব করেছে তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন মাসে লাখ লাখ টাকা। রুপনগর আবাসিক ২৯’৩০’৩১ ও ৩৯ রোডের শেষ মাথায় রুপনগর খাল দখল করে বিভিন্ন ভুয়া সংগঠনের অফিস করে বানিয়েছেন আদালত, চলে বিচার কার্যক্রম সেখানে। যারা বেশি টাকা দিবে তাদের পক্ষে রায় দেওয়া হয় বলেও একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। রুপনগর নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন আগামীতে বাংলাদেশ একাত্তর.কম ।