শুক্রবার , ২৪ আগস্ট ২০১৮ | ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা

গোপালগঞ্জ সদর কলাবাগান মসজিদের মুয়াজ্জিন মোস্তফা শেখ, গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি!

প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একাত্তর
আগস্ট ২৪, ২০১৮ ৪:২০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ একাত্তরঃ রিপোর্টার মুন্না, ক্যামেরায় সোহেল বাপ্পি। ঢাকা মহাখালি বক্ষব্যাধী হাসপাতালে ভর্তি!
নাম মোঃ গোলাম মোস্তফা শেখ (৫৬) গ্রাম-ঘোসের চর উত্তর পাড়া (কলাবাগান) থানা+জেলা গোপালগঞ্জ  তিনি কলাবাগান জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়ীত্তে রয়েছেন, এই মসজিদ ১৯৯৮ সালে একটি কলা গাছের পাতা  দিয়ে ঘেরাও করে ছোনবনের চাল বানিয়ে সেখানে এলাকার মানুুষ নামাজ আদায় করতেন।
২০০০সালের পর থেকে আসতে আসতে মসজিটি টিনের চালের ঘর হয় এখন আল্লার রহমতে সেই ছোনের ঘর এখন পাচ তলা বিল্ডিং করা হচ্ছে। গোপালগঞ্জ জেলার সাবেক মেয়র আবু মিয়ার ছেলে জিমি’র কাছে স্থায়ী ভাবে মসজিদের জন্য জায়গা চাইলে তিনি এই মোস্তফার কথায় রাজি হয়ে যান এমন কি মোটা অংকের অনুদানও দেন জিমি। এভাবেই ধিরে ধিরে মসজিদটি ছোনের ঘর থেকে আজ বিল্ডিং তৈরি হয়েছে।
মোস্তফা শেখ বলেন, জীবনে আমার খুব স্বপ্ন ছিলো এই মসজিদ’টি নিয়ে আমার সে স্বপ্ন আল্লাহর রহমতে পুরন হয়েছে। এই মসজিদে এলাকার শত শত মানুষ নামাজ আদায় করেন,সকালে বাচ্চাদের কোরান শিক্ষা দিওয়া হয়। এই মসজিদ’টির সাথে আমার বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে, আমি এখন অসুস্থ তাই চিকিৎসার জন্য ঢাকা আসা, আমি মসজিদ রেখে কোথাও থাকতে পারিনা।
 আজ তিন বছর ধরে আমি এই শাঁস কষ্টে ভূগছি। আমার স্ত্রী মারা গেছেন দেড় বছর হলো, ছেলে মেয়ে সাতজন সবাই বিয়ে করে যার যার মতে তারা আছে।  বহু ডাক্তার দেখাইছি এখন ডাক্তার দেখাইতে দেখাইতে খুব ক্লান্ত। বাংলাদেশর কোন ডাক্তারই এরোগের চিকিৎসা দিতে পারলোনা টাকা পয়সা বহু নষ্ট করছি ভিটা মাটিও শেষ করছি ডাক্তার আর ঔষুধের পিছনে সুটে সুটে। কোন সুফল হলোনা আমার রোগ নিয়েই বাচতে হচ্ছে ।
  প্রশ্নের এক জবাবে মুসকি হাসি দিয়ে বলেন, বাড়ি আমার গোপালগঞ্জ আমি প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাসিন্দা ঠিক আছে তার কাছে আমরা যাব কি ভাবে , আমাদের কি ঢুকতে দিবে ওখানকার লোক! প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে পারলে তো আমার চিকিৎসার সব ভার তিনি নিতো আমার পুরো বিস্বাস আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট। আল্লাহতালা প্রধানমন্ত্রীকে দির্ঘ আয়ু বারিয়ে দিক দেশের জন্য যে ভাবে কাজ করতেছে একজন মহিলা হয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই সম্ভব। তিনি আরো বলেন আমার পূর্ব পুরুষ আওয়ামীলীগ আমরা ভোট দিই নৌকায় আজীবন কাল, আমার চাচা মোকসুদূল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা, রামদিয়া শীতারামপুর গ্রাম, (বড় বাড়ী বললে অনেকেই চেনে ) ওনি মারা যাওয়ার পর জাতীয় সন্মানের সহিত  তার দাফন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার চাচা বেশি সময় কাটিয়েছে, বঙ্গবন্ধু ৭১’ এর কিছু দিন আগে আমার চাচা বাড়ী রামদিয়া শীতারামপুর গ্রামে বেড়াইতেও আসছিলো জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কষ্টকর বিষয় হলো যে ঘরে বঙ্গবন্ধু বসেছিলো সেই ঘর মুক্তিযোদ্ধের সময় পুড়িয়েছিলো পাকিস্তানিরা সাথে ছিলো এদেশের রাজাকার। আমার চাচা তো ভাই শেখ ওয়াছি উজ্জামান(লেলিন) বীর মুক্তিযোদ্ধা, লোক মুখে শুনছি তিনি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি।

তিনি দির্ঘ তিন বছর ধরে  শাঁস কষ্ট সমস্যায় ভুগছেন রোগ মুক্তির আশায় দেশের প্রাই সকল নামি দামি হাসপাতালের ঔষধ খেয়েছেন বহু টাকা পয়সা খরচ করেও তার রোগ মুক্ত হতে পারেনি, মোস্তফা শেখ। যে ডাক্তারের কাছেই যায় লাইন ধরে ভিজিট দেওয়া লাইন ধরে সকল টেস্ট করা এযেন রিতিমত একটা চাকরি তার। শাঁস কষ্ট রোগে আক্রান্ত সেই রোগ চিরতরে ভালো করার কোন ঔষধই দিতে পারেনি কোন চিকিৎসক বা চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র।

ডাক্তার দেখাইতে দেখাইতে ভিটা বাড়ী পর্যন্ত বিক্রি করেছেন তিনি তারপরও বাচার জন্য সব সময় নিজেকে সেবা কেন্দ্র বা পরামর্শ কেন্দ্রে সুটে যান তিনি। শাঁস কষ্ট জনিত রোগে তার শরীর আর চলেনা হাটা চলা করতে তার ভিষণ কষ্ট।
যার পিছনে শত শত মানুষ নামাজ পড়েছে তিনি আজ ডাক্তারের লেখা প্রেসক্রিপশন নিয়ে ফার্মিসীর দাড়ে দাড়ে ঘুরছেন”

বর্তমান তিনি সাভার নবীনগর নয়ারহাট তার মেয়ের বাসায় আছেন। শাঁস কষ্ট রোগ থেকে চির মুক্তি পেতে দেশের সকল মানুষের দোয়া ও পরামর্শ চেয়েছেন ,গোলাম মোস্তফা শেখ। মোস্তফা শেখ- মোবাইল নাম্বার-০১৯২৪ ৩৩৪৫৯৪

সর্বশেষ - আইন ও আদালত