নিজেস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে বাসা ভাড়া নিয়ে তৈরি হচ্ছে বিদেশি নকল পণ্য। বিদেশি নামি ব্র্যান্ডের আড়ালে তৈরি করা হচ্ছে নিম্ন মানের নকল পণ্য। মেয়াদবিহীন পণ্যে নতুন সিল দেয়া, অবৈধভাবে বাজারজাত করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া দুইজনকে দেয়া হয় ১ বছর করে কারাদণ্ড। রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে বাসা ভাড়া নিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব পণ্য। বুধবার (০৩ এপ্রিল) দিনভর র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বিএসটিআইএ’র যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে এমন অনিয়মের চিত্র। র্যাব জানায়, জে কে মার্কেটিং নামে এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন চকলেট, আচারে বিদেশি নামি-দামি ব্যান্ডের লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করত। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও কর্মচারীকে এক বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিএসটিআই’র ফিল্ড অফিসার রেজানুর রহমান সরকার বলেন, প্রায় ১০টির মতো প্রোডাক্ট আছে যার কোনো মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ নেই। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বলেন, থাইল্যান্ডের বেশ কিছু প্রোডাক্ট তার এখানে নকল করছে। তারা অন্যান্য প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের ক্ষেত্রে জালিয়াতি করেছে। যে পণ্যের মেয়াদোত্তীর্ণ মার্চ ২০১৯ সালে সেই পণ্য আগস্ট ২০১৯ করে দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং দুইজনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর আগে মেয়াদবিহীন পণ্যে নতুন মেয়াদের সিল লাগানো, বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া পণ্য বাজারজাত করার দায়ে ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় মাওলা ট্রেডার্স নামের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে। ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বলেন, ভিনেগার রয়েছে, বিভিন্ন মসলা রয়েছে, যাদের মেয়াদ ছিল না। এছাড়া, কাপড়ের রং খাবারে মেশানোর অপরাধে রাতুল স্টোরকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।