একে ধরিয়ে দিন
ডেক্স রিপোর্টঃ-নাম মোঃ সোহাগ মাহমুদ (৩২), পিতাঃ আবুল বাশার মিয়া, সাং উত্তর মাদ্রাস, থানা-চরফ্যাশন, জেলা-ভোলা এ/পি সেকশন ১২ /এ, রোড-১০০, বাসা-১ সাগুফতা মোড়, থানা- পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা, মোবাঃ ০১৬৭৭-০৭৯০৯০/ ০১৮১৯-৫০৩২৫৭, জানা যায় এর সহিত ১২ বছর পূর্বে ইসলামী সরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়।
নাম মোসাঃ ফারজানা আক্তার পিংকি (২৬), পিতাঃ ওমর ফারুক, মাতাঃ পারভীন বিবি, সাং সেকশন-১২/এ, রোড-১০০, বাসা-১, সাগুফতা মোড়, থানা-পল্লবী, জেলা-ঢাকা তাদের ১২ বছর সংসার জীবনে দুটি সন্তান একটি মেয়ে, মালিছা মাহমুদ (১১), একটি ছেলে-সাদাফ মাহমুদ (৫) নামে রয়েছে।
গত ইং ২৭/০৬/২০১৯ তারিখে সকাল ১০টার দিকে স্ত্রীর জমাকৃত ৩-লক্ষ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোটরসাইকেল যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং-ঢাকা মেট্রো-ল-১৩-৭৪৬১ নিয়ে পালিয়ে যায়। দুটি সন্তান নিয়ে অসহায় ফারজানা আক্তার পিংকি পড়েছেন চরম বিপাকে। স্বামীর খোজে শহরের এ প্রান্তে থেকে ও প্রান্তে খুজে বেড়িয়েছেন।
পিংকি পল্লবী নতুন থানা সংলগ্ন সজিব ফার্মেসী নামে একটি ঔষধের দোকান চালিয়ে অল্প অল্প করে সঞ্চয় করা টাকা নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। সোহাগ নিরুদ্দেশ হওয়ার পরপরই দুটি সন্তান কেঁদে কেঁদে পাগল প্রায়। বারবার বলে মা বাবা কোথায়? আসে না কেন? আমি আমার সন্তানদের এখন কি জবাব দিব। আজ চার দিন হলো খাওয়া দাওয়া কিছুতেই করতে চায় না সন্তান দুটি। স্ত্রী পিংকি, স্বামী সোহাগের সন্ধান পেতে সাহায্য সহযোগিতা চেয়েছেন দেশবাসির কাছে।
এ বিষয়ে পল্লবী থানায় একটি সাধারন ডায়রী করা হয়। পিংকি বলেন, আমরা নতুন একটা দোকান চুক্তিপত্র করার জন্য আমার জমানো টাকা গুলি তুলি। মিরপুর-১ নম্বর থেকে টাকা গুলো আমার স্বামী সোহাগের নিকট দিই। তিনি বাসা থেকে বের হওয়ার পূর্বে বাসার স্বর্নালংকার ও আমার ক্রয়কৃত মোটরসাইকেলের মূল কাগজপত্রসহ ড্রাগ লাইসেন্স অন্যত্র সরাইয়া রাখে।
সে আমাকে বলে তুমি বাসায় যাও আমি আসছি এই বলে আমাকে পাঠিয়ে দেয়। বাসায় আসতে দেরি দেখে আমি ফোন করে কথা বলি সে বলে আমার আসতে আরও দেরি হবে বার বার এতো কল দেও কেন। আমি কি তোমার টাকা নিয়ে চলে গেছি নাকি। তারপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সে আর ফিরে আসে নাই। পিংকি বলেন, এলাকার বহু লোকজনদের নিকট থেকে ধার বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে। আমার কাছে পাওনাদাররা এসে তাকে খোজ করে। একদিকে দেনাদারদের বেশি কথা অন্যদিকে আমার সন্তাদের কষ্ট আমি যে কি করে সহ্য করবো এখন কিছুই বোঝতে পারছিনা। আমি তো জীবিত থেকেও মৃত্যু।
এক প্রশ্নে জবাবে বলেন, সে নতুন বিয়েও করতে পারে। আরেক প্রশ্নে বলেন, সে ঢাকা শহরে কোথাও আত্মগোপন রহিয়াছে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতা ও বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকদের কাছে দাবী জানান। তার স্বামীর সন্ধান চান এবং তিনি তার স্বামীর সন্ধান দাতাকে পুরস্কৃত করবেন বলেও ঘোষনা করেন।
পাওয়া মাত্র মোবাঃ ০১৬৩৩-০২১ ০৭৯ তে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইল। ধন্যবাধান্তে মোসাঃ ফারজানা আক্তার (পিংকি)