মঙ্গলবার , ৫ মার্চ ২০১৯ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ সংবাদ
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

উচ্ছেদ আতংঙ্কে আখতারুন্নেছা

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
মার্চ ৫, ২০১৯ ১:১৯ অপরাহ্ণ

                                                              চট্টগ্রামে উচ্ছেদ আতংঙ্কে আখতারুন্নেছার পরিবার!

নিজেস্ব প্রতিবেদক :  সরকারি খাস জমিতে দীর্ঘ ৪০ বছর বসবাস করলেও এখন উচ্ছেদ আতংঙ্কে রয়েছে অসহায় বিধবা আখতারুন্নেছা। চট্টগ্রাম বায়েজদ বোস্তামী থানাধীন এলাকায় নবীনগর ১ নং রোড, মৌজা পশ্চিম ষোলশহর পাচলাইন, চট্টগ্রাম, আর এস দাগ নং ১২৬ এর অভ্যন্তরে ২.৫ কাঠা, যাহার চৌহদ্দি পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিন এর  জায়গাটিতে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে বসবাস উপযোগী বানিয়ে গড়ে তোলে বসত ভিটা। আখতারুন্নেছার দেখাদেখি অনেকেই সেখানে গড়ে তোলে বাড়িঘর। ধীরে ধীরে বদলে যায় ওখানকার পরিবেশ ছোয়া লাগে আধুনিকতার আর এতেই নজর পড়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের। অসহায় বিধবা আখতারুন্নেছা হয় কাউন্সিলরের টার্গেট। জায়গাটির মালিক সাজানো হয় মদিনাল হক নামে এক কথিত জামাত নেতা। বিচার চলে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে। স্থানীয় কাউন্সিলর মোবারক আলী বিচারের রায় হিসেবে আখতারুন্নেছাকে ১ মাসের সময় দিয়ে জায়গাটি খালি করার হুকুম প্রদান করেন।

আখতারুন্নেছা তার ধীরে ধীরে গড়ে তোলা বসত ভিটা খালি না করায় আখতারুন্নেছার ছেলে মেয়েকে জোর পূর্বকভাবে নিয়ে যায় কাউন্সিলরের অনুসারীরা। সেখানে তাদেরকে গালাগালি করে জোর পূর্বকভাবে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে জায়গাটি পুনরায় খালি করার আদেশ দেন কাউন্সিলর। আথতারুন্নেছা জায়গাটি খালি না করায় একের পর এক হুমকি চলতেই থাকে।

আখতারুন্নেছা এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন  জায়গায় আবেদন করেছেন, ন্যায্য ও সুবিচার পাবার আশায় । আখতারুন্নেছা বলেন আমার স্বামী ১৯৯৮ সালে মারা যাওয়ার পর থেকে আমি মানুষের বাড়ি বাড়ি বুয়ার কাজ করে দুই ছেলে চার মেয়েকে মানুষ করতাছি। বহু কষ্টে এই জায়গায় মাথা গুজার ঠাই বানিয়েছি আর এখন কাউন্সিলর বলে তার লোকজন এই জায়গার মালিক। সরকারি জায়গা সে মালিক হলে এই ৪০ বছর সে কই ছিল। আমি প্রধান মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাইছি সেই দরখাস্ত সে দেখে বলে এই সিল সই নাকি ভুয়া।

আখতারুন্নেছা আরও বলেন, আমাকে এই জায়গা থেকে উচ্ছেদ করলে আমি বৃদ্ধ বয়সে ছেলে মেয়ে নিয়ে কই যাবো !  আমার জন্ম স্থান গোপাল গঞ্জ সেখানেও আমার কোন ভিটা মাটি নাই। স্বাধীনের পর থেকেই এখানেই বসবাস করে আসছি।আমার স্বামী একজন মুক্তিযোদ্ধা অনেক বছর আগে মারা গেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অনেক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। আমি না বোঝার কারনে, আমার স্বামীর নাম মুক্তি যোদ্ধা তালিকায় তুলতে পারিনি এখনো। আখতারুন্নেসা কেঁদে দিয়ে বলেন, আমি অসহায় বয়স্ক মহিলা, কমিশনার আমার সন্তানের মত তবুও তার পায়ে ধরেছি কিন্তু তার পাষান মন এত টুকু গলেনি, আমার কোন কথাই শুনতে চায় না। এখন আমি ও আমার সন্তানদের নিয়ে তাদের ভয়ে আতংকে দিন যাপন করছি।

এ  বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মোবারক আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি  বলেন, আমার কাছে বিচার নিয়ে মদিনাল হক এসেছিলেন আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি।

এবিষয়ে মদিনাল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জায়গাটি কিনেছি, সকল দলীলদী আছে। আমি তাকে থাকতে দিয়েছি। তাকে তো আমি উচ্ছেদ করিনি করার চেষ্টাও করিনি করলে তো এতো দিন থাকতে পারতোনা।

সর্বশেষ - রাজনীতি