- মিরপুরে পোশাক শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু
ডেক্স রিপোর্টা | বাংলাদেশ একাত্তর.কম
ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের-১ নাম্বারের শাহআলী থানা সংলগ্ন এলাকা থেকে শিমু (১৮) নামে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বাসা-৩৩, ব্লক-বি, এভিনিউ, ওয়ার্ড ৮ মিরপুর-১ এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিমুর চাচা মো. সায়েম বাংলাদেশ একাত্তরকে বলেন, বিকাল ৫টার সময় গার্মেন্টস থেকে বাসায় এসে ঘরে বসে তরি তরকারি কাটছিল। রাতের খাবারের জন্য। ঘরের ভেতর এখনো তরিতরকারি এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে । তিনি আরও বলেন, গতকাল শিমু তার বাবাকে মোবাইল ফোনে বলছিলো বাবা তুমি তাড়াতাড়ি এসো ওরা আবার আমাকে বেশি রকম উৎত্যক্ত করছে বলেও জানিয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, শিমু আত্নহত্য করে করেনি কেয়ারটেকার এর ছেলে ও নাতি তারা খুন করে আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দিতে পারে বলে তারা ধারনা করছে।খ
বর পেয়ে শিমুর খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী দরজা ধাক্কা দিয়ে ঢুকে দেখে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের স্থানীয়রা রাতেই ভিড় করে উক্ত বাসার সামনে। তার বাবা (দেলোয়ার) গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর গেছে। মৃতের আত্নীয়রা অভিযোগ করে বলেন বাড়ির কেয়ারটেকার মোঃ মোস্তফার ছেলে ও নাতি আমার ভাতিজিকে প্রায়ই সময় উত্যক্ত করত। কিছুদিন আগেও বিচার করে দিয়েছে স্থানীয়রা। তারা মনে করছেন এটা আত্মহত্যা নয় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে খুনিরা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে পারে। সেজন্যে তারা মনে করেন প্রশাসন (বাংলা সিরিয়াল আদালত কেডি পাঠক এর মত তদন্ত করলেই এরহস্য জনক মৃতের আসল ঘটনা উদঘাটন সম্ভব হবে। এবিষয়ে কথা বলতে চাইলে কেয়ারটেকার এর ছেলে সুমন কে পাওয়া যায়নি, সাংবাদিক আশার খবর টের পেয়ে ই গা ঢাকা দিয়েছে।
শাহ আলী থানার এসআই মশিউর রহমান বাংলাদেশ একাত্তর.কম কে বলেন, রাত ৮টার দিকে সে মারা যেতে পারে। বি-ব্লক এর বাড়ি নাম্বার ৩৩ এভিনিউ মিরপুর ১। তিনি আরও বলেন, মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতদেহ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ লাশ উদ্ধারের সময় ঝুলন্ত সব বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পরিবার সুত্রে জানা যায়, শিমুকে যারা উৎত্যক্ত করতো তাদের নামে অভিযোগ করতে চাইলে পুলিশ বলে আপনারাতো দেখেন নাই তাই ময়না তদন্ত ছাড়া কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ঠিক হবেনা। আজ শিমুর মরা দেহ গ্রামের বাড়ী ফরিদপুর দাফন করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।